বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ দেবার লক্ষ্যে ২৯ এপ্রিল দুপুরে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এক কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত ২৫ জন সাংবাদিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। তিনি অংশগ্রহণকারীদেরকে প্রতি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশের আহবান জানান। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিবেদন তৈরি প্রসঙ্গে ও তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের কমিউনিকেশনস অফিসার সরকার শামস বিন শরীফ। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক মামুন ফরাজী। আর কর্মশালার সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের গ্রান্ডস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া। যে ২৫ জন সাংবাদিক ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- মাসুদ রুমী (দৈনিক কালের কণ্ঠ), জাহিদুর রহমান (দৈনিক সমকাল), ইশতিয়াক মাহমুদ (দৈনিক ইনকিলাব), মোহাম্মদ জোনায়েদ (দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ), মনির আহমেদ জারিফ (দৈনিক মানবকণ্ঠ), মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী (দৈনিক বাংলাদেশের খবর), শাহ মো. ইলাহী নকিব (দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল), নাসির উদ্দিন অনিক (দৈনিক বাংলাদেশ নিউজ), মো. আখতারুজ্জামান (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি), রবিউল আলম (দৈনিক আজকের পত্রিকা), জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), লস্কর সাইফ-উদ-দৌলা (দৈনিক খোলা কাগজ), নাসির উদ্দিন বুলবুল (দৈনিক নওরোজ), মো. সিফায়েত উল্লাহ (দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ), হাসান মাহমুদ (দৈনিক গণমুক্তি), মো. মেহেদী হাসান ডলার (৭১ টেলিভিশন), মো. মহিবুল্লাহ মুহিব (বাংলাভিশন), আল্লামা ইকবাল অনিক (জিটিভি), মোহাইমানুল ইসলাম নিয়ন (দীপ্ত টিভি), মো. হাসান তাইমুম ওয়াহাব সৈনিক (নেক্সাস টিভি), সঞ্জয় চৌধুরী (রেডিও সাগর গিরি ৯৯.২ এফএম), সেলিনা শিউলি (বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা), মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান (বাংলা ট্রিবিউন), নাহিদ-উল-হাসনাত (ঢাকা পোস্ট) ও মো. ইসহাক ফারুকী (ইউনাইটেড নিউজ২৪)। প্রসঙ্গত, তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো তামাকবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশে সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়ানো। ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আইনের সংশোধন জরুরী’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নির্বাচিত সাংবাদিকগণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে বাছাইকৃত সেরা ৪টি প্রতিবেদনের জন্য ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। ফেলোশিপ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে সাফল্যের সাথে অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদন সাপেক্ষে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলো হিসেবে সনদপত্র ও সম্মানী প্রদান করা হবে।

Post Author: hsdam

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *