২২ মার্চ সোমবার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত-২০১৩) এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর উদ্যোগে ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় রাজধানী ঢাকার জোয়ার সাহারা বাস ডিপো খিলক্ষেতের প্রশিক্ষণকক্ষে ‘পেশাজীবি গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে পেশাদার গাড়ী চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য ক্ষতি বিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প কর্মকর্তা অদুত রহমান ইমন।
প্রশিক্ষণ জানানো হয়, যদিও বর্তমানে গণপরিবহনে সাধারণত জনগণ ধূমপান করেন না, কিন্তু এখনোও গণপরিবহনের (বিশেষ করে বাস, টেম্পু ও সিএনজির) অনেক চালক বা চালকের সহকারী ধূমপান করেন। ফলে গণপরিবহনের আরোহীরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এছাড়াও পাবলিক প্লেস হিসেবে বিমান বন্দর ভবন, সমুদ্র বন্দর ভবন, নৌ বন্দর ভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, বাস টার্মিনাল ভবন, পাবলিক পরিবহনে আরোহণের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি এবং জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য অন্য কোন স্থানে আইনত ধূমপান নিষেধ। কিন্তু এই স্থানসমূহেই ধূমপান সাধারণত বেশি হয় এবং পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন বহু মানুষ। বর্তমান আইন অনুযায়ী সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইনেজ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক; অন্যথায় ১০০০ টাকা জরিমানা। কিন্তু এখনোও পর্যন্ত সকল গণপরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইনেজ দেখা যায় না।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী চালকদেরকে গণপরিবহনে ধূমপানের অপকারীতা বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়। এছাড়া আইনী বাধ্যবাধকতা সম্পর্কেও তাদেরকে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গণপরিবহণ শতভাগ তামাক মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ এর যৌথ প্রয়াস হিসেবে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে ৯৫ জন পেশাদার গাড়ি চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যক্ষতি বিষয়ক ধারণা প্রদান করা হয়।

Post Author: hsdam

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *